আমাদের কথা
প্রফেসর হারুনূর রশীদ সিকদার
প্রধান উপদেষ্টার বাণী
সভ্যতার এ পর্যায়ে দিন দিন আধুনিক বিশ্বে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই। এ বাস্তবতার তাগিদেই দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজে শিক্ষকতা এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দীর্ঘ কর্মময় জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে সত্যিকার দেশপ্রেমিক নাগরিক গঠনের লক্ষ্যে রাজধানী আইডিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠায় জড়িত হয়েছি। যার মূল স্লোগান হলো “আলোকিত মানুষ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”। এ কলেজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দিয়ে সাজানো হয়েছে শিক্ষক পর্ষদ । যুগোপযোগী মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি ছাত্র/ছাত্রীকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব। এইচএসসি-তে সঠিক দিক নির্দেশনায় পড়ালেখার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে পাস করলে শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার পথ প্রসারিত হবে এবং জীবন বিকশিত ও আনন্দময় হয়ে উঠবে। কেননা স্বল্পমেয়াদী এই কোর্সের ফলাফল শিক্ষার্থীকে পরবর্তী জীবনে সফলতার শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে। আমাদের কর্মপদ্ধতি সঠিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারলে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া এক ঝাঁক নবীন শিক্ষার্থীকে আলোকিত মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
কাজী মো. শহীদুল্লাহ্
সভাপতির বাণী
বিশ্বায়নের যুগে তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ধারায় উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আরোহন করার জন্য তরুণ প্রজন্ম ছুটছে দেশ থেকে দেশান্তরে। নিজের মেধা, যোগ্যতা, পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের স্বীকৃতি আদায় করেছে বিশ্বের কাছ থেকে। প্রযুক্তি নির্ভর, উৎপাদনমুখী, সৃজনশীল ও দক্ষতাসম্পন্ন তরুণ প্রজন্মই দেশ ও সমাজের গর্ব, জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের অগ্রসৈনিক। এ তরুণ প্রজন্মই দেশের চালিকা শক্তি। তরুণদের চালিকা শক্তি রূপে গড়ে তোলার জন্য দেশে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যথেষ্ট অভাব বোধ করেই ২০০৮ সালে রামপুরায় প্রতিষ্ঠিত হয় রাজধানী আইডিয়াল কলেজ।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই HSC পরীক্ষায় শতভাগ পাস ও এসএসসি-র তুলনায় এইচএসসি-তে জিপিএ বৃদ্ধি করে অত্র কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য তারা স্থান করে নিয়েছে দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠে। ২০১৪ সালে অত্র প্রতিষ্ঠান ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের স্বীকৃতি অর্জন করে। অত্র কলেজের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মণ্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সর্বমহলে এটি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
বোর্ডের ফলাফলে এ প্রতিষ্ঠান প্রতিবছরই পূর্বের সাফল্যকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। যা আমাদের কর্মতৎপরতার গতিকে আরো বেগবান করছে। ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ইতোমধ্যেই আমরা একটি পরিপূর্ণ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। যার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারব । ইনশাআল্লাহ ।
অত্র কলেজটিকে বাংলাদেশের একটি শীর্ষ আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে আলোকিত মানুষ গড়ার মহৎ কর্মকাণ্ডে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
মো. জাহাঙ্গীর আলম
অধ্যক্ষের বাণী
আধুনিক বিশ্ব শিক্ষা-সভ্যতায় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিকল্প নেই। উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে তা পরিপূর্ণভাবে অর্জন করা সম্ভব। উচ্চমাধ্যমিক স্তর হচ্ছে উচ্চ শিক্ষার প্রবেশদ্বার। এই স্তরে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষার নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এ লক্ষ্য অর্জনে রাজধানী আইডিয়াল কলেজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। ইতোমধ্যেই এই কলেজ রামপুরা, হাতিরঝিল ও বাড্ডা থানা তথা ঢাকা মহানগরীতে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলে নন্দিত ও প্রশংসিত। নিয়মিত তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্লাস, (প্রয়োজন সাপেক্ষে অনলাইন ক্লাস), নিয়মিত পরীক্ষা, গাইড শিক্ষকের নিবিড় পরিচর্যা, প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকবৃন্দের একাগ্রচিত্ততা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধনের ফলে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০০% পাসের হার, জিপিএ বৃদ্ধি ও বোর্ডের মেধা বৃত্তিসহ চমৎকার ফলাফলের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে।
ইতোমধ্যেই অত্র কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশসহ বিদেশের স্বনামধন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। অত্র কলেজ থেকে HSC পাস করা শিক্ষার্থীদের অনেকেই মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। এই ধারাবাহিক সাফল্য আমাদের কর্মতৎপরতার গতিকে আরো বেগবান করছে।
২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও সুধী সমাজের যাচাই-বাছাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজধানী আইডিয়াল কলেজ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।